মেক্সিকোয় সাগরের নিচে পাওয়া একটি গুহা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি আবিস্কার হওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গুহা। তবে সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে, এই গুহাতে মানুষের পা পড়েছিল! ডুবুরিরা গুহাটি পরীক্ষা করে সেখানে মানব সভ্যতার নিদর্শন দেখতে পান। এরপর বিশেষজ্ঞেরা জানান, নিদর্শনগুলো প্রমাণ করছে এগুলো মায়া সভ্যতার সময়ের।
প্রাচীন ইনকা, সিন্ধুর মতো মায়া সভ্যতা নিয়েও মানুষের মনে কৌতূহলের পরিমাণ প্রচুর। এই অঞ্চলের সাগরে বিজ্ঞানী এবং ডুবুরিরা তাই অনেক দিন ধরেই সন্ধান চালাচ্ছিলেন। অবশেষে সাফল্যের দেখা পেলেন তারা।
জিএমএএপি (Great Maya Aquifer Project) নামের একটি গবেষক দল প্রথম দু’টি ডুবন্ত গুহার সংযোগকারী রাস্তাটিকে খুঁজে পান। দীর্ঘদিন ধরেই তারা মেক্সিকোর ইউকাতান উপদ্বীপে সাক আকতুন ও তুলুমের দোস ওজোস গুহার সন্ধান চালাচ্ছিলেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ডুবন্ত গুহার সন্ধানের ফলে আগামীতে মায়া সভ্যতার ইতিহাস সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে। দু’টি গুহাকে বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে ‘সাক আকটুন সিস্টেম’ নাম দিয়েছেন।
তারা জানিয়েছেন, গুহাটি দৈর্ঘ্য অন্তত ২১৬ মাইল। দুর্গম ও গোপন এই গুহা নিয়ে বিজ্ঞানীরা শুধু আশাবাদীই নন। তাদের বিশ্বাস এই গুহায় মায়া সভ্যতার অনেক ধনসম্পত্তি লুকিয়ে আছে।
Leave a Reply